যে কারনে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়
নরম বিছানা
ছেড়ে মেঝেতে পা দিয়েই বিপত্তি। ইশ্! ফেটে গেছে পায়ের গোড়ালি। ব্যথায় কোঁচকানো মুখ নিয়ে ভাবছেন, কীভাবে যত্ন নেওয়া যায় পায়ের। মুখ কিংবা হাত-পায়ের যত্ন তো বেশ নিচ্ছেন। পায়ের গোড়ালি দুটো মনোযোগ পাচ্ছে না
একদমই।
শীতকালের পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়াটা খুব পরিচিত একটি সমস্যা।
যে কারণগুলোতে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়, তা হলো—
* শুষ্ক আবহাওয়া। অর্থাৎ যে সময়ে প্রকৃতিতে আর্দ্রতার ভাব কমে আসে আর ধুলা ওড়ে বেশি। তখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।
* সারা বছর অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল, অপরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহার করা, দিনের কাজ শেষে পা না ধুয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া, ফেটে যাওয়া পায়ের চামড়া টেনে উঠিয়ে ফেলা, প্রচুর পরিমাণে পানিশূন্যতা, দেহে রক্তের অভাব—এই সমস্যাগুলোতে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।
* অনেকেই বারবার পা ধুয়ে ফেলেন, কিন্তু ঠিকভাবে মোছেন না, পায়ের আঙুলের ফাঁকে পানি জমেই থাকে। এভাবে পানি জমে থেকে গোড়ালিসহ আঙুলের কোণাও ফেটে যায়।
* যাঁরা অতিরিক্ত কাদা, পানি, লবণাক্ত স্থান (যেমন ট্যানারি) বা পানিতে দীর্ঘ সময় কাজ করেন, তাঁদের গোড়ালি ফেটে যায়।
* অতিরিক্ত ওজনসম্পন্ন ব্যক্তিদেরও পা ফাটতে পারে। দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে যায়। তখন ত্বক ফাটতে পারে।
* আবার পারিবারিক বা বংশগত কারণেও অনেকের পা ফাটে। রক্তের সম্পর্কিত কারও পায়ের গোড়ালি অতিরিক্ত ফেটে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে, তখন আপনারও পা ফাটতে পারে।
এ প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায় শীতকালে। আবার অনেকের সারা বছরই ফাটে। এই সমস্যা থেকে থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বাইরে থেকে এসেই সাবান দিয়ে হাত পা ধুয়ে ফেলুন। তারপরে ময়েশ্চারাইজিং করার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি, লোশন বা কোনো ক্রিম লাগান। মরা কোষগুলো পেট্রোলিয়াম জেলিতে নরম হয়ে উঠে যায়।’
অনেকের আবার চামড়া উঠে রক্তপাত হয়। গোড়ালি বেশি ফেটে গেলে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে মোজা পরতে পারেন। এতে জেলি মোজাতে লেগে গেলেও ফাটা স্থানগুলোতে পৌঁছাবে।
এ ছাড়া কাঁচা হলুদের প্যাকও লাগাতে পারেন। কাঁচা হলুদ মুলতানি মাটি, আমন্ড ওয়েল—এই তিন উপকরণ দিয়ে প্যাক বানিয়ে পায়ে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। তারপরে নরম ব্রাশ দিয়ে পায়ের মরা চামড়াগুলো ঘষে আলতো করে তুলে ফেলুন। এই প্যাকটা ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।
* পানিশূন্যতা, অপুষ্টি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের কোনো সমস্যা থাকলে তা দূর করুন।
* প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল, শাকসবজি, পানির পরিমাণ বেশি এমন খাবার খান।
* পায়ের চামড়া টেনে তুলবেন না।
* বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা ভীষণ জরুরি।
শীতকালের পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়াটা খুব পরিচিত একটি সমস্যা।
যে কারণগুলোতে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়, তা হলো—
* শুষ্ক আবহাওয়া। অর্থাৎ যে সময়ে প্রকৃতিতে আর্দ্রতার ভাব কমে আসে আর ধুলা ওড়ে বেশি। তখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।
* সারা বছর অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল, অপরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহার করা, দিনের কাজ শেষে পা না ধুয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া, ফেটে যাওয়া পায়ের চামড়া টেনে উঠিয়ে ফেলা, প্রচুর পরিমাণে পানিশূন্যতা, দেহে রক্তের অভাব—এই সমস্যাগুলোতে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।
* অনেকেই বারবার পা ধুয়ে ফেলেন, কিন্তু ঠিকভাবে মোছেন না, পায়ের আঙুলের ফাঁকে পানি জমেই থাকে। এভাবে পানি জমে থেকে গোড়ালিসহ আঙুলের কোণাও ফেটে যায়।
* যাঁরা অতিরিক্ত কাদা, পানি, লবণাক্ত স্থান (যেমন ট্যানারি) বা পানিতে দীর্ঘ সময় কাজ করেন, তাঁদের গোড়ালি ফেটে যায়।
* অতিরিক্ত ওজনসম্পন্ন ব্যক্তিদেরও পা ফাটতে পারে। দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল হয়ে যায়। তখন ত্বক ফাটতে পারে।
* আবার পারিবারিক বা বংশগত কারণেও অনেকের পা ফাটে। রক্তের সম্পর্কিত কারও পায়ের গোড়ালি অতিরিক্ত ফেটে যাওয়ার ইতিহাস থাকলে, তখন আপনারও পা ফাটতে পারে।
এ প্রসঙ্গে রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষের পায়ের গোড়ালি ফেটে যায় শীতকালে। আবার অনেকের সারা বছরই ফাটে। এই সমস্যা থেকে থেকে মুক্তি পেতে চাইলে বাইরে থেকে এসেই সাবান দিয়ে হাত পা ধুয়ে ফেলুন। তারপরে ময়েশ্চারাইজিং করার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি, লোশন বা কোনো ক্রিম লাগান। মরা কোষগুলো পেট্রোলিয়াম জেলিতে নরম হয়ে উঠে যায়।’
অনেকের আবার চামড়া উঠে রক্তপাত হয়। গোড়ালি বেশি ফেটে গেলে পুরু করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে মোজা পরতে পারেন। এতে জেলি মোজাতে লেগে গেলেও ফাটা স্থানগুলোতে পৌঁছাবে।
এ ছাড়া কাঁচা হলুদের প্যাকও লাগাতে পারেন। কাঁচা হলুদ মুলতানি মাটি, আমন্ড ওয়েল—এই তিন উপকরণ দিয়ে প্যাক বানিয়ে পায়ে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। তারপরে নরম ব্রাশ দিয়ে পায়ের মরা চামড়াগুলো ঘষে আলতো করে তুলে ফেলুন। এই প্যাকটা ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন।
* পানিশূন্যতা, অপুষ্টি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকের কোনো সমস্যা থাকলে তা দূর করুন।
* প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল, শাকসবজি, পানির পরিমাণ বেশি এমন খাবার খান।
* পায়ের চামড়া টেনে তুলবেন না।
* বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা ভীষণ জরুরি।
No comments:
Post a Comment