ভিটামিন বা ক্যালসিয়ামজাতীয় ওষুধ মাসের পর মাস খেলে কি ক্ষতি হয়।
কেউ মাসের পর মাস খেয়ে
চলেন ভিটামিন বা ক্যালসিয়ামজাতীয় ওষুধ। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এভাবে দীর্ঘদিন
ওষুধ সেবন করা কি ঠিক?
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বছরের পর বছর: অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা আছে ভেবে কেউ কেউ
দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ সেবন করেন। এ ধরনের ওষুধ পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের
নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। এই অ্যাসিড স্বাভাবিক পরিপাক প্রক্রিয়ায় খাবার বিচূর্ণ করতে সাহায্য করে এবং জীবাণু
ধ্বংস করে। কারণে-অকারণে অনবরত গ্যাসের ওষুধ সেবনের ফলে অ্যাসিডের স্বাভাবিক কাজগুলো ব্যাহত
হয়। অনেক সময় দীর্ঘদিন এ ধরনের ওষুধ সেবনের ফলে অন্ত্রে নানা রকম ভিটামিন শোষণের কাজ
ব্যাহত হয়। এমনকি দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ সেবন করার ফলে পরবর্তী সময়ে পাকস্থলীর ক্যানসারও হতে
পারে।
মাল্টিভিটামিন: শারীরিক দুর্বলতার জন্য বা এমনিতেই অনেকে নানা ধরনের মাল্টিভিটামিন
সেবন করে থাকেন। কিন্তু প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবার থেকেই শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ
পাওয়া যায়। তাই ভিটামিনের চাহিদা পূরণের জন্য বাড়তি ওষুধের প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকের নির্দেশনা ছাড়া
যাঁরা দীর্ঘদিন মাল্টিভিটামিন সেবন করেন, তাঁরা পরবর্তী সময়ে দেহে অনাবশ্যক ভিটামিন
বৃদ্ধি বা হাইপারভিটামিনোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন।
ক্যালসিয়াম: হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম একটি আবশ্যিক উপাদান। তার মানে এই নয় যে হাড়ে
বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হলেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট উপকারে আসবে। ক্যালসিয়ামের অভাবে যেমন
হাড়ের অসুখ হতে পারে, তেমনি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম বেড়ে যাওয়ার কারণেও হাড়ে ব্যথা হতে পারে। তাই হাড়ে বা সন্ধিতে ব্যথা
হলেই ক্যালসিয়াম ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। যথাযথ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চিকিৎসকই নির্ধারণ
করবেন, আপনার জন্য ক্যালসিয়াম
ওষুধ প্রয়োজন কি না।
No comments:
Post a Comment